Friday, July 3, 2020

৩৮ তম বিসিএসে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে জামালগঞ্জের অনিন্দ্য অভি 》Voice Of Sunamganj


Report: Ruhan Jr. প্রকাশ হওয়া ৩৮ তম বিসিএসে প্রকৌশল ক্যাডারে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ  স্থান লাভ করেছেন হাওরাঞ্চল খ্যাত সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের মেধাবী পরিবারের ছেলে অনিন্দ্য অভি। তার বড় ভাইও বিসিএস উত্তীর্ণ। অভির মা-বাবা অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক।
বাবা জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিবেকানন্দ তালুকদার ও মা আভা রানী তালুকদার জামালগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। বাবা মায়ের পেশাগত কারনে অনিন্দ্য অভি তালুকদার এর বেড়ে উঠা জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের বাসায়। পড়াশোনা শুরু জামালগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ায় প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় টেলেন্টপুলে পেয়েছেন বৃত্তি। পরবর্তীতে জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ -৫ পেয়ে এএসসি পাস করে ভর্তি হন ময়মনসিংহের নজরুল ইসলাম কলেজে। নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যোলয়ে। ছোট বেলা থেকেই মা বাবার অনুপ্রেরনায় উচ্চ শিক্ষায় সুশিক্ষিত হওয়ার মনোভাবই তাকে বিসিএস ক্যাডার পর্যন্ত স্বপ্ন পুরনে সহায়তা করেছে।  
প্রকাশ হওয়া ৩৮ তম বিসিএস-এ সহকারী প্রকৌশলী (সড়ক ও জনপথ) থেকে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান লাভ করে। অনিন্দ্য অভি জানান তার পিতার দ্বায়িত্ববোধ ও অনুপ্রেরণাই তাকে এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। তিনি আরো জানার তার মা-বাবা চাইতেন তিনি যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিসিএস ক্যাডার হন। তার মা-বাবার চাওয়া পুরন করতে পেরেছেন। মা-বাবা সহ বড় ভাই অমিতাব পরাগ বিসিএস (ক্যাডার) ও বোন  জুই তালুকদার (এমবিবিএস ডাক্তার) তার এ সাফল্যে খুশি।  
অনিন্দ্য অভির মা-বাবার সাথে কথা হলে তারা জানান সন্তানের সাফল্যে তারা অনেক খুশি। সে অনেক কষ্ট করেছে। যার জন্য আজকে তার এই সাফল্য। অনিন্দ্য অভির উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন এই আশাবাদও ব্যক্ত করেন অনিন্দ্য অভির মা-বাবা। 
অনিন্দ্য অভি বর্তমান প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন সবসময় বাবা-মাকে সম্মান করতে হবে। তাদের আদেশ নিষেধ মানতে হবে। স্বপ্ন যাই হোক না কেন মন দিয়ে পড়াশোনার বিকল্প নাই। তিনি আরো বলেন আমরা ডিজিটাল হচ্ছি, হাতের কাছে মোবাইল কম্পিউটার পাচ্ছি। কিন্তু ছাত্র অবস্থায় সেগুলোর ব্যবহার কমিয়ে নিয়মতি পড়াশোনা করলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। 

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: