Friday, October 20, 2017

বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয়- প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা


স্টাফ রিপোর্টার
জামালগঞ্জের বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতি রঞ্জন পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি ফি আদায় ও বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্মাল্য কান্তি রায় বাদী হয়ে আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-জামালগঞ্জ-এ মামলা দায়ের করেছেন। 
আদালত মামলটি আমলে নিয়ে জামালগঞ্জ থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নিরঞ্জন তালুকদার। 
মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্মাল্য কান্তি রায় চলতি বছরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এর পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে জানতে পারেন বিদ্যালয়ের 
একাউন্টে কোন টাকা নেই, শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও ব্যাংকে ঠিকমত জমা হয়নি। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের নির্ধারিত ফি’র বাকী টাকা বিদ্যালয়ের একাউন্টে জমা দেয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান ও সাবেক সদস্যরা অভিযোগ করেন, ফি’র টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন এবং ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা (অডিট) করা হয়। নিরীক্ষা কমিটি জানতে পারেন শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ব্যাংকে জমা হয়নি। নিরীক্ষার পর প্রধান শিক্ষক প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তিনি টাকা ব্যাংকে জমা দেননি। প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসাব নিয়ে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ২০১২ সাল থেকে ঠিকমত টাকা জমা দিচ্ছেন না। প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। 
মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি ও পুনঃভর্তিসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় হয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী স্কুলের সমস্ত আয় বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় না। গত জানুয়ারি মাসে টাকা জমা হয়নি। এর আগের বছরের টাকাও তিনি ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখেছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জানতে পেরেয়েছেন প্রধান শিক্ষক চলতি বছর ও অতীতেও বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: