Thursday, August 27, 2020

জামালগঞ্জের মৌলীনগরবাসীর দুঃখ দেখার যেন কেউ নেই: Voice Of Sunamganj

জামালগঞ্জের মৌলীনগরবাসীর দুঃখ দেখার যেন কেউ নেই: Voice Of Sunamganj




আবুল কালাম জাকারিয়া:
সুনামগঞ্জ লাইভ : সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালীর মৌলীনগরবাসীর দুঃখ দেখার যেন কেউ নেই!! অতিত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বারবার জন প্রতিনিধিদের কাছে আবেদন নিবেদন করে ও ছয় মাস নাও (নৌকা) আর ছয় মাস পাও-ই  (পা) তাদের ভাগ্যে!!!

উক্ত গ্রামের সদর রাস্তায় প্রায়ই তাদের নির্মাণ করতে হয় বাঁশের সাঁকো। যাতে প্রতি বছর খরচ করতে হচ্ছে অনেক টাকা। সুনামগঞ্জের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ এই রাস্তাটি মাটি ভরাট সহ পাকা করে অত্র এলাকার ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  জননেত্রী  শেখ হাসিনার উন্নয়নের  কাজের ধারা  অব্যাহত  রেখে বিশাল উপকার করবেন। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন স্বেচ্ছাশ্রমে আজ আবার চলছে সাঁকো নির্মাণের কাজ।

Sunday, August 16, 2020

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জুতা পায়ে শ্রদ্ধা জানালেন ইমন।!তৃণমূলে ক্ষোভ প্রকাশ

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জুতা পায়ে শ্রদ্ধা জানালেন ইমন।!তৃণমূলে ক্ষোভ প্রকাশ

 


জাতীয় শোকদিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদককের জুতা পায়ে শ্রদ্ধা নিবেদন,তৃণমূলে ক্ষোভ প্রকাশ।স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তার প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে দিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এনামুল কবির ইমন।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের ব্যানারে সকল নেতাকর্মীরা খালি পায়ে পৌরসভার ঐতিহ্যবাহি যাদুঘরের (পুরাতন কোর্ট) সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এনামুল কবির ইমন তিনি জুতা পায়ে দিয়ে প্রতিকৃতিতে উঠে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ ফেটেঁ পড়েন তখন।

আজ রোববার সন্ধ্যায় তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীরা জানান আমাদের স্বাধীন বাংলার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতার হাতে গড়া আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক হয়ে ইমন তিনি কিভাবে জুতা পায়ে দিয়ে তার শাহাদাত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন এটা বোধগম্য নয়। যে নেতা জুতা পায়ে দিয়ে স্বাধীন বাংলার স্থপতির প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো মানেই মহানায়ককে অপমানিত করা হয়েছে। এই ছবিটি দেখলেই প্রমানিত হবে এই নেতা কোন আদর্শের রাজনীতি করেন। ঐ সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র কঠোর ব্যবস্থা নিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা

Sunday, July 26, 2020

জামালগঞ্জের গজারিয়ায় একজন খুন : ভয়েস অব সুনামগঞ্জ

জামালগঞ্জের গজারিয়ায় একজন খুন : ভয়েস অব সুনামগঞ্জ



জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবক খুন হয়েছেন। নিহত রিযাস উদ্দিন (৪০) উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের গজারিয়া একরামপুর গ্রামের চানফর আলীর ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আহমদ জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রিয়াস উদ্দিন গজারিয়া একরামপুর হাটি নদীর ঘাটে গোসল করতে যান। এসময় কাপড় কাঁচা নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয় একই গ্রামের কটু মিয়ার ছেলে  সিদ্দিক মিয়ার (৪৫)। এক পর্যায়ে সিদ্দিক মিয়া ও তার পক্ষের কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান রিয়াস উদ্দিনের উপর। এতে গুরুতর আহত হন রিয়াস। পরে তাকে উদ্ধার করে জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান রিয়াস উদ্দিন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
 

Thursday, July 23, 2020

শিমুলবাঁক ইউনিয়ন সমাজ কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন || ভয়েস অব সুনামগঞ্জ

শিমুলবাঁক ইউনিয়ন সমাজ কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন || ভয়েস অব সুনামগঞ্জ



দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর বাজারে আজ বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় সর্বসম্মতিক্রমে ছালেক আহমদ কে সভাপতি ও মঈনুল হক কে সাধারণ সম্পাদক করে শিমুলবাঁক ইউনিয়ন সমাজ কল্যাণ পরিষদের আগামী ২ বছরের জন্য ৭১ বিশিষ্ট কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি সেলিম আহমদ, আল জাবের,সোহাগ মিয়া,কবির আহমদ,ফয়ছল আহমদ,জীবন রানা,আলী আহমদ,কাউসার আহমদ,আরজু মিয়া, ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান, পাভেল আহমদ,মাহদি হাসান মান্না,রাহেল মিয়া সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন,আখলাক হোসেন বিজয়,তুহিন আহমদ,তারেক আহমেদ, রাকিব আহমদ, অর্থ সম্পাদক রাজু মিয়া,উপ অর্থ সম্পাদক মুন্না আহমেদ ,প্রচার সম্পাদক তাহির আলম,দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমদ,  শিক্ষা সম্পাদক নয়ন দত্ত,সাহিত্য সম্পাদক হোসাইন আহমদ,গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান আহমদ,ধর্ম সম্পাদক কদ্দুছ মিয়া,যোগাযোগ সম্পাদক সাইফুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন,

সমাজ সেবা সম্পাদক জামিল আহমেদ ,আইন বিষয়ক সম্পাদক বাবুল আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক নিজাম উদ্দিন , স্বাস্থ্য সম্পাদক ওয়াহিদ মিয়া, আপ্যায়ন সম্পাদক আফাজ মিয়া,স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক হাসানুল হক নাঈম,দুর্যোগ ও ত্রান বিষয়ক সম্পাদক আবু বক্কর,তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক সুজিত দত্ত কর্মসূচি সম্পাদক লোকমান মিয়া,পরিকল্পনা সম্পাদক শাহরিয়ার আহমদ,সহ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান, আতাউর রহমান,ইয়াছিন মিয়া,ঝুমন কল্যাণ তালুকদার, সুহেল আহমদ,মিনার আহমদ,উপ সম্পাদক  সম্পাদক আবু তাহের, মঈনুল হক,জইনুল হক,আরশাফ,সম্মানিত সদস্যবৃন্দ করিম,সবুজ,জাহেদ আহমদ,কাউসার আহমদ,জাহেদুল, শাহরিয়ার, হাসান আহমেদ, নুর হোসাইন, লাদেন আহমেদ, আল হাদি,আফসার,জাহাঙ্গীর মিয়া,বিলাল আহমদ,তাজ উদ্দিন, সৈয়দ হোসেন,তোফায়েল, জুনায়েদ, জাহিদ,রুপক দত্ত,নাজিম উদ্দিন, তৈয়বুর রহমান।

Tuesday, July 21, 2020

সুনামগঞ্জে ২৫ যাত্রী নিয়ে বাস খালে; নিখোঁজ ২১

সুনামগঞ্জে ২৫ যাত্রী নিয়ে বাস খালে; নিখোঁজ ২১



সুনামগঞ্জের নীলপুল বাজার এলাকায় ২৫ যাত্রী নিয়ে বাস খালে, নিখোঁজ ২১
সুনামগঞ্জের নীলপুল বাজার এলাকায় ২৫ যাত্রী নিয়ে বাস খালে, নিখোঁজ ২১ জন; উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, সকালে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ২৫ থেকে ২৬ জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে চারজন সাঁতরে উঠতে পারলেও বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
উদ্ধার কর্মীরা জানায়, করোনা কারনে বাসটি গেটলক থাকায় যাত্রীরা কেউ বের হতে পারেনি। সিলেট থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

Monday, July 6, 2020

চির বিদায় নিলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর

চির বিদায় নিলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর



‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’—কিছু দিন আগে হুইলচেয়ারে চেপে মঞ্চে উঠে এই গানটি শুনিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। গাইবার সময় তিনি নিজে যেমন কেঁদেছিলেন, কাঁদিয়েছেন শ্রোতাদেরও। এর সবকিছু স্মৃতিতে মুড়ে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটের দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন রাজশাহীতে। স্ত্রী ইতি কিশোর ছাড়াও শিল্পীর ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক এবং মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। তারা দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। টিকিট মিললেই ফিরবেন বাংলাদেশে।
টানা ৯ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থেকে গত ১১ জুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে দেশে ফিরেছিলেন এন্ড্রু কিশোর। তারপর থেকে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এই শিল্পী। শিল্পীর দুলাভাই ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। যদিও সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার আগেই সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এক মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর বাঁচবেন এই শিল্পী। মূলত এমন তথ্য পেয়েই দেশে ফিরে এন্ড্রু কিশোর নিজ সিদ্ধান্তে নীরবে চলে যান জন্মশহর রাজশাহীতে।
যাওয়ার আগে স্বজনদের বলে যান, মায়ের পাশেই যেন সমাহিত করা হয়।
এর আগে অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন এই নন্দিত গায়ক। সেখানে গিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে ছিলেন তিনি। চলে টানা কয়েক মাসের কেমোথেরাপি।
এন্ড্রু ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। তার চিরসবুজ কণ্ঠ অসংখ্য জনপ্রিয় রোমান্টিক গান উপহার দিয়েছে।


এন্ড্রু কিশোর: সিঙ্গাপুর থেকে নীরবে রাজশাহী ফেরার নীল বেদনা..."
এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে। সেখানে তিনি ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানে কণ্ঠ দেন। তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ চলচ্চিত্রের ‘ধুম ধাড়াক্কা’। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রতিজ্ঞা’ চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গাওয়া গান প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করে।
প্লে-ব্যাকে তার গানের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি। অন্যতম জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যেখানে, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা, সবাই তো ভালোবাসা চায় প্রভৃতি।
দেশ-বিদেশের সুনামের পাশাপাশি তিনি সম্মানও পেয়েছেন অনেক। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন।

Friday, July 3, 2020

  ৩৮ তম বিসিএসে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে জামালগঞ্জের অনিন্দ্য অভি 》Voice Of Sunamganj

৩৮ তম বিসিএসে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে জামালগঞ্জের অনিন্দ্য অভি 》Voice Of Sunamganj


Report: Ruhan Jr. প্রকাশ হওয়া ৩৮ তম বিসিএসে প্রকৌশল ক্যাডারে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ  স্থান লাভ করেছেন হাওরাঞ্চল খ্যাত সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের মেধাবী পরিবারের ছেলে অনিন্দ্য অভি। তার বড় ভাইও বিসিএস উত্তীর্ণ। অভির মা-বাবা অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক।
বাবা জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিবেকানন্দ তালুকদার ও মা আভা রানী তালুকদার জামালগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। বাবা মায়ের পেশাগত কারনে অনিন্দ্য অভি তালুকদার এর বেড়ে উঠা জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের বাসায়। পড়াশোনা শুরু জামালগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ায় প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় টেলেন্টপুলে পেয়েছেন বৃত্তি। পরবর্তীতে জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ -৫ পেয়ে এএসসি পাস করে ভর্তি হন ময়মনসিংহের নজরুল ইসলাম কলেজে। নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যোলয়ে। ছোট বেলা থেকেই মা বাবার অনুপ্রেরনায় উচ্চ শিক্ষায় সুশিক্ষিত হওয়ার মনোভাবই তাকে বিসিএস ক্যাডার পর্যন্ত স্বপ্ন পুরনে সহায়তা করেছে।  
প্রকাশ হওয়া ৩৮ তম বিসিএস-এ সহকারী প্রকৌশলী (সড়ক ও জনপথ) থেকে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান লাভ করে। অনিন্দ্য অভি জানান তার পিতার দ্বায়িত্ববোধ ও অনুপ্রেরণাই তাকে এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। তিনি আরো জানার তার মা-বাবা চাইতেন তিনি যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিসিএস ক্যাডার হন। তার মা-বাবার চাওয়া পুরন করতে পেরেছেন। মা-বাবা সহ বড় ভাই অমিতাব পরাগ বিসিএস (ক্যাডার) ও বোন  জুই তালুকদার (এমবিবিএস ডাক্তার) তার এ সাফল্যে খুশি।  
অনিন্দ্য অভির মা-বাবার সাথে কথা হলে তারা জানান সন্তানের সাফল্যে তারা অনেক খুশি। সে অনেক কষ্ট করেছে। যার জন্য আজকে তার এই সাফল্য। অনিন্দ্য অভির উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন এই আশাবাদও ব্যক্ত করেন অনিন্দ্য অভির মা-বাবা। 
অনিন্দ্য অভি বর্তমান প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন সবসময় বাবা-মাকে সম্মান করতে হবে। তাদের আদেশ নিষেধ মানতে হবে। স্বপ্ন যাই হোক না কেন মন দিয়ে পড়াশোনার বিকল্প নাই। তিনি আরো বলেন আমরা ডিজিটাল হচ্ছি, হাতের কাছে মোবাইল কম্পিউটার পাচ্ছি। কিন্তু ছাত্র অবস্থায় সেগুলোর ব্যবহার কমিয়ে নিয়মতি পড়াশোনা করলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। 

Tuesday, June 30, 2020

সুনামগঞ্জে ভারি বর্ষণে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে

সুনামগঞ্জে ভারি বর্ষণে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে



সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় জেলায় বন্যার পানি কমছে, তবে হাওর এলাকায় বাড়ছে মানুষের র্দুভোগ। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার উঁচু এলাকাগুলো থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনও শান্তিবাগ, মরাটিলা, নুতনপাড়া, নবীনগর, ষোলঘর, কালীপুর, মল্লিকপুর, ওয়েজখালী, হাছনবসত, সুলতানপুর মোহাম্মদপুর, বনানীপাড়া, কলেজ রোড, পশ্চিমহাজীপাড়া, বড়পাড়া, তেঘরিয়া, জেলরোড, লঞ্চঘাটসহ অনেক আবাসিক এলাকার সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। এসব এলাকার সড়কে নৌকা দিয়ে লোকজন শহরে আসা-যাওয়া করছেন। পৌর এলাকার ৬০ ভাগ ঘরবাড়ি ও আঙ্গিনায় এখনও বন্যার পানি রয়ে গেছে। নিচু এলাকার নলকূপগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট। সুনামগঞ্জ শহরের প্রতিটি সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ।
স্থানীয়রা জানান, ঢলের পানি ও প্রবল স্রোতে রাতে গ্রামীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। হাওর বেষ্টিত সদর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, শাল্লা, ছাতকসহ ৯টি উপজেলার কয়েক হাজার বসতবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। দুর্গত এলাকার লোকজন গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। বসত বাড়ির আঙিনায় বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় খড়ের খাদা পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে। এতে গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া গরুর ঘর পানিতে নিমজ্জিত থাকায় গবাদি পশুর বাসস্থানেরও সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, সদরের ৯টি, বিশ্বম্ভরপুরের পাঁচটি, তাহিরপুরের সাতটি, জামালগঞ্জের চারটি, ছাতকের পাঁচটি, শাল্লার একটি, দোয়ারাবাজারের দুটি, জগন্নাথপুরের তিনটি ও ধর্মপাশা উপজেলার চারটি ইউনিয়নসহ ৬১টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছেন। সদরের ১১টি, বিশ্বম্ভরপুরে আটটি, তাহিরপুরে ৩১টি, জামালগঞ্জে ২৫টি, ছাতকে তিনটি, দোয়ারাবাজারে তিনটি, শাল্লায় একটি, ধর্মপাশায় ২০টি ও জগন্নাথপুর উপজেলায় দুটি ও চারটি ছাতক, সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুরসহ চারটি পৌরসভায় ২৩টিসহ মোট ১২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ১৯৪টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। ৯টি উপজেলা ও চারটি পৌরসভায় ৬৬ হাজার ৮৬৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৪১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, দিয়াশলাই, মোমবাতি, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুবর রহমান বলেন, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণের কোনও সম্ভাবনা নেই। নদীর পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, জেলার ৯টি উপজেলার ২৫ হাজার গবাদি পশু গোখাদ্য সংকটে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে ধর্মপাশা ও দোয়ারাবাজার উপজেলায়। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, বন্যার কারণে ৯টি উপজেলার তিন হাজার নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকায় নলকূপের ভেতরে বন্যার পানি ঢুকে গেছে। সেগুলোকে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া প্লাবিত এলাকায় দুই লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।

সড়ক জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় জামালগঞ্জ- সুনামগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজারের সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়কে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলোর কোনও কোনও অংশ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া জেলার ২৫ কিলোমিটার সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন মো. শামছ উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া অব্যহত রয়েছে। ত্রাণের কোনও সংকট নেই। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে।

Wednesday, June 3, 2020

স্কুল শিক্ষকদের অবমাননাকারীর শাস্তি চাই >> Voice Of Sunamganj

স্কুল শিক্ষকদের অবমাননাকারীর শাস্তি চাই >> Voice Of Sunamganj



নোয়াগাঁও গ্রামের একটি ছেলে ভীমখালী হাইস্কুল নিয়ে কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার বার খারাপ মন্তব্য করতেছে। সে বলতেছে ভীমখালী হাইস্কুলে না কি সকল শিক্ষক অযোগ্য। তাহলে কি যোগ্যতা ছাড়াই স্কুলের শিক্ষক হওয়া যায়?? এইসব ফালতু স্টেটাস দেখে ভীমখালী ইউনিয়নের ছাত্রছাত্রীসহ সকল সাধারণ মানুষ কঠোর প্রতিবাদ করে। সে আরো বলে, তার কোনো কিছু কেউ করতে পারবে না। আচ্ছা এই পিচ্চি ছেলে এতো সাহস পাইছে কার কাছ থেকে। 


তার গ্রামের কিছু মানুষ বলছে তার পরিবার বা বংশের মাঝে কোনো স্কুল শিক্ষক তো দূরের কথা সে ছাড়া আর কোনো মেট্রিক পাশ মানুষ ও নাই। একটা মূর্খ পরিবারের সন্তান হয়ে এত বড় বড় কথা বলে কিভাবে?? দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ভীমখালী হাইস্কুলের সকল সাবেক ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীসহ সকল সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

একটা বাজে ছেলে বার বার বাজে মন্তব্য করবে আর এই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা চুপ করে থাকবে তা হয় না ৷ এলাকার লোক চুপ করে থাকবে ? ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে কুরুচিপূর্ন কথা বলবে তাতে কি চুপ করে থাকবে ?? দুই একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেম্বারের সাথে দুই একটা সেলফি তুলতে পারলে নেতা হওয়া যায় না🤣😁
রাজনীতির র বোঝেনা সে কি করে বড় বড় কথা বলে ৷ আমি ভীমখালী ইউনিয়নের সব গন্যমান্য ব্যাক্তিদের দৃষ্টিআকর্ষন করছি ৷ বিশেষ করে যারা ম্যানেজিং কমিটিতে আছেন তাদেরকে ৷ কেন সে বলবে ভীমখালী উচ্ছ বিদ্যালয় এবং শিক্ষক অযোগ্য ??
বার বার মাফ চেয়ে ছাড় পেলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ হবে।