Sunday, November 5, 2017

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে পাঠদান ব্যাহত

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে পাঠদান ব্যাহত



বিশেষ প্রতিনিধি-মনির আমান:
অবকাঠামোগত সংকট, শিক্ষক শূন্যতা এবং কোন কোন শিক্ষকের অদায়িত্বশীলতার কারণে সুনামগঞ্জের উচ্চ শিক্ষার প্রধানতম বিদ্যাপীঠে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। একাদশ থেকে মাস্টার্স শ্রেণির পাঠদানের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৮০০। অধ্যক্ষ থেকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পর্যন্ত ৬১ টি পদ থাকলেও আছেন ৩৮ জন। এরমধ্যে ৮ জনেরও অধিক শিক্ষক রয়েছেন যারা শতকরা কমপক্ষে ২৫ ভাগ ক্লাসে অনুপস্থিত থাকেন।
১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ১০ বছর আগে অনার্স চালু হয়। বর্তমানে ১০ টি বিষয়ে অনার্স এবং ৪ টি বিষয়ে মাস্টার্স চালু রয়েছে। কলেজে শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন ২৬ টি। শ্রেণিকক্ষ আছে ১৪ টি। এই অবস্থায় এক শ্রেণির ৪ টি’র বেশি ক্লাস হয় না শিক্ষার্থীদের। কলেজে একদিকে শিক্ষক সংকট, অন্যদিকে গড়ে ৮ জনেরও বেশি শিক্ষক প্রায়ই পাঠদানে অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।
কলেজের ¯œাতক ২য় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বললো, ‘কলেজ অধ্যক্ষই অনিয়মিত, এ কারণে অন্য শিক্ষকরা সুযোগ নেন।’ এমন মন্তব্য একাধিক শিক্ষার্থীর।
কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ভুবনজয় আচার্য্য ২৩ অক্টোবর কলেজে যোগদান করে যাওয়ার পর শনিবারই প্রথম কলেজে এসেছেন। ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূর-এ আলমকে ক্লাসে দেখা যায় কালে-ভদ্রে। এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলামেরও একই অবস্থা। দর্শন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তালেব, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশীদ খান, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, উদ্ভিদ বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক গোলাম আহমদ খান, প্রভাষক সুবীর পাল, প্রাণী বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক জেসমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের ক্ষেত্রে একই ধরনের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।       
অভিযোগের বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূর-এ-আলম বললেন,‘আমি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি সত্য নয়।’ এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন,‘আমি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকি না। আমার বাড়ি রাজশাহীতে, বাড়ি গেলে যাওয়া-আসায় পথে চার দিন লাগে।’ দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন,‘আমার চেয়ে বেশি ক্লাস কেউ নেয় না।’ গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশীদ খানও পাঠদানে অনুপস্থিত নেই দাবি করে বলেন,‘বাড়ি যাওয়া-আসায় তাঁর কিছুটা সমস্যা হয়।’ এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুর রহমান বলেন,‘আমি নিয়মিত ক্লাস নেই। ডিপার্টমেন্ট প্রধান কম আসেন।’ উদ্ভিদ বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক গোলাম আহমদ খান দাবি করলেন, মাস খানেক হয় যোগদান করেছেন। ক্লাস ফাঁকি দিতে অভ্যস্ত নন তিনি। এই বিভাগের প্রভাষক সুবীর পাল দাবি করলেন, তিনি নিয়মিত থাকেন। বিভাগীয় প্রধান সপ্তাহে ৩-৪ দিন থাকেন। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জেসমিন চৌধুরী নতুন এসেছেন জানিয়ে বললেন,‘ক্লাস কম হয় না। আমি নতুন এসেছি, আগে ডিপার্টমেন্টে একজন ছিলেন।’ এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বললেন,‘ছুটিতে গেলে কেউ না কেউ ক্লাস নেন। থাকলে ক্লাস ঠিকই হয়।’
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুস ছত্তার বলেন,‘সীমাহীন সংকট বিরাজ করছে কলেজে। অবকাঠামো সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন ২৬ টি, আছে ১৪ টি। এ কারণে ক্লাস করা যাচ্ছে না। এমনিতেই শিক্ষক সংকট। এরমধ্যেই পদার্থ, রসায়ন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শনের ৪ শিক্ষককে শহরের মহিলা কলেজেও ক্লাস নেবার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি আরও সমস্যা বাড়িয়েছে। ৮ জন খ-কালীন শিক্ষক নিয়ে কোনভাবে পাঠদান অব্যাহত রাখা হচ্ছে। ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ২৩ তারিখ যোগদান করেছিলেন, তিনি আজ (শনিবার) প্রথম এসেছেন। নূর-এ আলম শনিবার আসেন না। কামরুল ইসলাম বাড়িতে গেলে কয়েকদিন থেকে আসেন। আবু তাহের বাড়ি নির্মাণের জন্য দেড় মাস অনিয়মিত ছিলেন। আব্দুর রশীদের বাড়ি কুমিল্লায়, তিনি অনিয়মিত। শফিকুর রহমানও অনিয়মিত। গোলাম আহমদ খান সিলেট থেকে একদিন পরে পরে আসেন। সুবীর পাল টানা থাকেন না। জেসমিন চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে যাওয়া-আসার মধ্যেই পাঠদান করেন। এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরও নিয়মিত নয়।’
নিজের অনুপস্থিত প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ আব্দুছ ছত্তার বলেন,‘আমি অফিসের উপরেই থাকি। আমি অফিসিয়েল এবং ব্যক্তিগত খুব জরুরি কাজ ছাড়া অনুপস্থিত থেকেছি এটি ছাত্র-শিক্ষক কেউই বোধ হয় বলবেন না।’

Thursday, November 2, 2017

ফেসবুক ইভেন্ট: তাসকিনের বিয়ে মানি না!

ফেসবুক ইভেন্ট: তাসকিনের বিয়ে মানি না!


আলী রেজা:
তাসকিন আহমেদ। যাকে বলা হয় টাইগার গতিদানব। তবে আগের সেই ফর্ম গত কয়েকটি সিরিজে মেলে ধরতে পারেননি সুদর্শন এই পেসার। তাতে কি, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষিদের সুদৃষ্টি থেকে এক চুলও সরে যাননি তিনি। আর তা না হলে কেন তার বিয়ের খবরে শুভাকাঙ্ক্ষীদের চোখে জল আসবে?
বিয়ে করলে তারকাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে থাকেন ভক্ত, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। কিন্তু তাসকিনের প্রতি টিনএজার বা কিশোরীদের এতই ভালোবাসা যে, টাইগার এই গাতিদানবের বিয়েটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পাচ্ছেন না তারা। তাই কেউবা আড়ালে, আবার কেউবা প্রকাশ্যে কান্নাকাটি করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তাসকিন আহমেদ। বিয়ের পর জীবনের নতুন সময়টাকেও দারুণ উপভোগ করছেন টাইগার এই তারকা পেসার। কিন্তু মানতে পারছেন তার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এখনও অনেকে নিজের হতাশার কথা ব্যক্ত করছেন।
শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে ”তাসকিনের বিয়ে মানি না” বলে ফেসবুকে একটি ইভেন্টও খোলা হয়ে গেছে! তবে, আশার কথা হলো বিয়ের খবর পাওয়ার পর ভক্তরা যেমন আফসোস করছেন, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে শুভকামনাও জানাচ্ছেন প্রিয় খেলোয়াড়কে।
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে সারাদেশে সাধারণ ছাত্ররা জিম্মি হয়ে পড়েছে

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে সারাদেশে সাধারণ ছাত্ররা জিম্মি হয়ে পড়েছে



বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, একের পর এক নজিরবিহীন অপকর্মের ঘৃন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এখন পর্যন্ত এসব সন্ত্রাসের দৃষ্টান্তমূলক কোন বিচার হয়নি। উল্টো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। ফলে ক্যাম্পাস গুলোতে তীব্র অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে সারাদেশে সাধারণ ছাত্ররা জিম্মি হয়ে পড়েছে।

তিনি আজ কুমিল্লার এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির কুমিল্লা অঞ্চলের সদস্য প্রার্থী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক মারুফুল ইসলামের পরিচালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

শিবির সভাপতি বলেন, দেশজুড়ে খুন, হত্যা, টেন্ডারবাজি, ভর্তি-বাণিজ্য আর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ণে এখন এক ত্রাসের নাম ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নজিরবিহীন সন্ত্রাস ও তান্ডবলীলায় ক্যাম্পাসগুলো সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টেন্ডারবাজি,প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস, শিক্ষক লাঞ্চনা মাদক, ইভটিজিং, অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস ও অপকর্মের চারণ ভূমিতে পরিণত করেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ও পুলিশের বলয়ে থাকা এই গুটি কয়েক ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে রেখেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেপরোয়া ছাত্রলীগ পুলিশ ও প্রশাসনের অনৈতিক সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে ভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের খুন, হামলা, নির্যাতন করে যাচ্ছে। যখন তখন হামলা করছে নিরপরাধ ছাত্রদের উপর। বহু ছাত্রনেতা ও সাধারণ ছাত্রকে নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। নির্বিচারে লুটপাট করছে ছাত্রদের ল্যাপটপ, কম্পিউটার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতা আরিফুল ইসলামকে নির্মম নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এর আগেও রাবি’তে ১৩জন নিরপরাধ ছাত্রকে রাতভর নির্যাতন করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রদেরকে বর্বর কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে ছাত্রলীগের ইচ্ছামতই সাধারণ ছাত্রদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। যা ক্যাম্পাস গুলোকে ভীতির উপত্যকায় পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের পরিবর্তে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের ঘৃন্য হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তারা ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দিয়ে উল্লাস করেছিল। মারধর ও অপদস্ত করেছে অনেক সম্মানিত শিক্ষকদে। দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় বার বার বন্ধ হয়েছে। এদের তত্ত্ববধানেই বার বার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যন্ত জড়িত, যা গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসী বহুবার দেখেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব অপকর্মের কোন বিচার হয়নি। সরকার, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতি অব্যাহত মদদ ও সহযোগিতায় প্রমাণ হয় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য মূল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগকে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও মদদ দাতাদের সব কর্মকান্ডই ছাত্রজনতা দেখছে। ছাত্রসমাজ কোন ভাবেই এই অপতৎপরতা মেনে নেবে না। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ক্যাম্পাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে ডিজিটাল জালিয়াতিতে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্যাম্পাসে সবার সহবস্থান ও শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির বরাবরই সাধারন ছাত্রদরে অধিকাার আদায়ে সোচ্চার। ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, বেতন বৃদ্ধি, বিভিন্ন ফি বৃদ্ধি সহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শিবির সব সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আগামী দিনেও সাধারণ ছাত্রদের যেকোনো অধিকার আদায়ে ছাত্রশিবির সাধারণ ছাত্রদের সাথে নিয়ে ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ

Wednesday, November 1, 2017

বিয়ে নিয়ে যা বললেন তাসকিন

বিয়ে নিয়ে যা বললেন তাসকিন


Jamalganj24:
জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ তাজিম। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করে এসেই অনেকটা তড়িঘরি বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়লেন। বিয়ে হয়েছে রাজধানীর লালমাটিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে। নতুন জীবনের সময়গুলো দারুণ উপভোগ করলেও বিয়ের খবরটা আগে না জানাতে পারায় ভক্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সময় করে সবাইকে জানিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করবেন।
বুধবার ব্যস্ততার ফাঁকেই মুঠোফোনে বিডি মনিংকে তাসকিন বলেন, জীবনের নতুন সময়টাকেও দারুণ উপভোগ করছি ‘বিয়ের পর আত্মীয়-বন্ধুদের বাসায় যাচ্ছি,। “ঘরোয়াভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করায় অনেককে জানাতে পারিনি। সেজন্য আমি দুঃখিত আশাকরি সময় করে সবাইকে জানিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করব।”
জানা গেছে, তাসকিনের স্ত্রী  সৈয়দা রাবেয়া নাঈমা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তাসকিনও পড়ছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাঈমার সঙ্গে দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় মন দেয়া-নেয়ার পর্ব শেষ হয়। এরপর একসাথে কাটিয়েছেন  দীর্ঘ সাত বছর। পাশাপাশি এলাকায় থাকা, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা সবকিছুই চলছিল সবার আড়ালে। বিষয়টি দুই পরিবারে মধ্যে জানাজানি পর গতবছর পারিবারিকভাবে তাসকিন ও নাঈমার আংটি বদল হয়। এরপর থেকেই বিয়ের প্রস্তুতির জন্য তৈরি হচ্ছে ছিলেন দু’পরিবার।
তবে হুট করেই যে বিয়েটা হয়ে যাবে তা নিজেও বুঝে উঠতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন ২২ বছর বয়সী এ পেসার বলেন, “খেলায় আরও ফোকাস বাড়ানোর জন্য, জীবনটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে নেয়ার জন্য বিয়েটা করে ফেলেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহর হুকুম হয়েছে সেজন্যই হয়ে গেছে। দেশবাসীকে বলবো আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এবং আগের মতো যেন খেলার মাঠে ফিরে আসতে পারি সেজন্যও দোয়া করবেন।”
বিয়েতে সতীর্থদের দাওয়াত করেছিলেন তাসকিন। কিন্তু দেশে ফিরেই বিপিএলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। তাই তাসকিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি জাতীয় দলে তাসকিনের সতীর্থরা। তবে ছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তুজা ও তার পরিবার। তাসকিনের সঙ্গে বরাবরই খুব ভালো সম্পর্ক মাশরাফির।
হাওরপাড়ের মানুষের কষ্ট- উঠোনে বিদ্যুৎ থাকলেও ৬৫০ টাকার জন্য ঘরে নেই বিদ্যুৎ

হাওরপাড়ের মানুষের কষ্ট- উঠোনে বিদ্যুৎ থাকলেও ৬৫০ টাকার জন্য ঘরে নেই বিদ্যুৎ




রোহান, জামালগঞ্জ:
সরকারি খরচে বাড়ির সামনে গেছে বিদ্যুতের খোঁটা, কিন্তু জামানতের মাত্র ৬৫০ টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওরপাড়ের প্রান্তিক কৃষকদের অনেক পরিবারই বিদ্যুৎ নিতে পারছেন না। বিগত ফসল মৌসুমে হাওরডুবে সর্বশান্ত মানুষগুলোর কাছে বাড়ির সামনের বিদ্যুতের খোঁটাগুলোও এখন আনন্দের বদলে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
পাগনার হাওরপাড়ের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের উজান লালপুর গ্রামের নাজমা আক্তার বললেন,‘পেটে ভাত নাই, ঘরে একবেলা খাওনের চাল নেই। প্রতিবেশির কাছেও সাহায্যের জন্য হাত বাড়ানোর উপায় নেই। সকলেরই এক অবস্থা। এই অবস্থায় বিদ্যুতের খোঁটা দেখা ছাড়া করার কিছু নেই, এটি আমাদের জন্য আরেক কষ্ট, সরকার আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন করেছেন, কিন্তু আমরা সামান্য টাকারও ব্যবস্থা করতে পারছি না।’
কেবল নাজমা আক্তার নয়, উজান লালপুর ও শরিফপুরের প্রায় ৩৬৬ পরিবারই এমন কষ্ট সহ্য করছেন। তাঁদের বাড়ির উঠোনে বিদ্যুতের খোঁটা কিন্তু ঘরে বিদ্যুৎ নেই।
উজান লালপুর গ্রামের সাজেদা বেগম, আফরোজা বেগম, সুরেশা বেগম, কুলফিয়া বেগম, ফুলেমা বেগম জানালেন গ্রামের ২৬০টি পরিবারের তারা ৬০-৭০ টি পরিবার রয়েছেন, যাদের এবার একবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা হলে, আরেক বেলা নিয়ে চিন্তায়    
থাকতে হয়। এই অবস্থায় ৬৫০ টাকার ব্যবস্থা হচ্ছে না তাঁদের। যারা গরু বিক্রি বা জমি বন্ধক রেখে টাকা এনেছেন, তাদের কেউ কেউ বিদ্যুৎ ঘরে নিয়েছেন। ১০০ পরিবার এখনও বিদ্যুৎ নিতে পারেনি। 
শরীফপুর গ্রামেরও একই অবস্থা। গ্রামের মোট পরিবারের সংখ্যা ৩৩৬ টি এরমধ্যে ১৭০ টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন। বাকী ১৬৬ টি পরিবার এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারছেন না। 
গ্রামের ফরিদ মিয়া ভিক্ষা বৃত্তি করে সংসার চালান, কিতাব আলীর একই অবস্থা। কিন্তু বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খোঁটা দেখে তাঁরা খুশি। বললেন,‘৬৫০ টাকারও ব্যবস্থা হবে না, বিদ্যুৎ নিতেও পারবো না।’ 
ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন,‘আমার ওয়ার্ডে অনেক পরিবার আছেন হতদরিদ্র,তারা জামানতসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে না পারায় বিদ্যুৎতের সংযোগ নিতে পারছেন না।’ 
উজান লালপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শুক্কুর আলী বলেন,‘আমার গ্রামে ২৬০টি পরিবারের মধ্যে ২০০ পরিবার এখনো টাকা জমা দিতে পারেননি।’ 
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎতের জেনারেল ম্যানেজার সোহেল পারভেজ বলেন, ‘প্রতিটি গ্রাহককেই ৬৫০ টাকা করে জমা দিতে হয়, এই টাকাটা গ্রাহকের হিসাবেই থাকবে, যখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চাইবেন, তখনই টাকা ফেরৎ পাবেন গ্রাহক।’   
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন,‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। এখন যারা একেবারেই হতদরিদ্র তাদের বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখবো।’
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের স্থান নিয়ে সদস্যদের আপত্তি

জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের স্থান নিয়ে সদস্যদের আপত্তি




জামালগঞ্জ প্রতিনিধি:  Jamalganj24
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারন নিয়ে পরিষদের ইউপি সদস্য ও সদস্যারা লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আপত্তি দেন তারা। 
আপত্তিকারীরা হলেন জামালগঞ্জ সদরের ইউপি সদস্য আশেক নূর, শহিদুল ইসলাম সোহেল, আনোয়ার হোসেন, মোছা: গোলছেরা বেগম ও হাবিবুর রহমান।
আপত্তিকারীদের দাবি জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়্রাম্যান শামসুল আলম ঝুনু মিয়া ও তার ছেলে সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার ইউনিয়নের কাউকে না জানিয়ে উপজেলা সদর 
 থেকে সরিয়ে লক্ষীপুরে ইউনিয়ন ভবনের স্থান নির্ধারণ করেছেন।  
আপত্তিতে ইউপি সদস্যগণ উল্লেখ করেন, আমরা জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যগণ জানতে পারলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভূমি অফিসারসহ অন্যান্য কর্মচারীগণ ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কোন এক স্থান সরেজমিন পরির্দশন করেছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এলাকার জনসাধারণসহ আমরা ইউনিয়ন পরিষদের কোন জনপ্রতিনিধিগণ এ বিষয়ে অবগত নই। 
আপত্তির বিষয়ে জামালগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার বলেন,‘বছর দুয়েক আগেই আমার পিতা উপজেলা চেয়ারম্যান নতুন ভবনের জন্য আমাদের গ্রাম লক্ষীপুরে জায়গা রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। তখন আমার ছোট চাচা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।’ 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন,‘জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবনের বিষয়ে একটি আপত্তি পেয়েছি। যদি ইউপি সদস্য সদস্যগণ ও জনগণ না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই গণশুনানীর ব্যবস্থা করা হবে।’