Saturday, December 16, 2017
Friday, December 15, 2017
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাণী
তারিখ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাণী
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি প্রবাসী বাংলাদেসীসহ দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাঁদের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি। আজকের এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব অকুতোভয় বীর শহীদদের কথা, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন স্বদেশভূমি পেয়েছি। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। পরাধীনতার হাত থেকে দেশের বিজয় অর্জনে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন- আমি জানাই তাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি প্রবাসী বাংলাদেসীসহ দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাঁদের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি। আজকের এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব অকুতোভয় বীর শহীদদের কথা, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন স্বদেশভূমি পেয়েছি। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। পরাধীনতার হাত থেকে দেশের বিজয় অর্জনে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন- আমি জানাই তাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশের অকুতোভয় বীর মুক্তি যোদ্ধারা বিজয়ী হয়। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। এদেশের দামাল ছেলেরা হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিলো স্বাধীনতার সূর্য। আজকের এ মহান দিনে আমি সেসব অকুতোভয় বীর সেনাদের সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই।
শোষণ-বঞ্চনামুক্ ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১-এ এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার খর্ব হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।
১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত আজো বিদ্যমান। আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা-সার্ব ভৌমত্বকে গ্রাস করে আমাদেরকে একটি পদানত জাতিতে পরিণত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। ওই অপশক্তির এদেশীয় দোসররা নানাবিধ চক্রান্তজাল রচনা করে আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিপন্ন করে চলেছে।
৫ জানুয়ারী ২০১৪-তে প্রহসনের একতরফা নির্বাচন করে জনমতকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। এদেশে এখন মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই। এদেশের মানুষ এখন অধিকার হারা। এদেশে শ্বাশ্বত গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। গণতন্ত্রহীন দেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে সর্বত্র হতাশা, ভয় আর নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে। ক্ষমতা জবরদখলকারীরা জনগণের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করছে। বর্তমান পরিস্থিতি যেন ভয়ংকর নৈরাজ্যময়। এই অশুভ শক্তির নীলনকশা বাস্তবায়নে রক্তপাতের ওপরই নির্ভর করা হচ্ছে। ওদের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্ব ভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মহান বিজয় দিবসে আমি দেশবাসী সকলের প্রতি সেই আহবান জানাই।
আল্লাহ্ হাফেজ, বাংলাদশ জিন্দাবাদ।”
(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
Sunday, November 5, 2017

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে পাঠদান ব্যাহত
বিশেষ প্রতিনিধি-মনির আমান:
অবকাঠামোগত সংকট, শিক্ষক শূন্যতা এবং কোন কোন শিক্ষকের অদায়িত্বশীলতার কারণে সুনামগঞ্জের উচ্চ শিক্ষার প্রধানতম বিদ্যাপীঠে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। একাদশ থেকে মাস্টার্স শ্রেণির পাঠদানের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৮০০। অধ্যক্ষ থেকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পর্যন্ত ৬১ টি পদ থাকলেও আছেন ৩৮ জন। এরমধ্যে ৮ জনেরও অধিক শিক্ষক রয়েছেন যারা শতকরা কমপক্ষে ২৫ ভাগ ক্লাসে অনুপস্থিত থাকেন।
১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ১০ বছর আগে অনার্স চালু হয়। বর্তমানে ১০ টি বিষয়ে অনার্স এবং ৪ টি বিষয়ে মাস্টার্স চালু রয়েছে। কলেজে শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন ২৬ টি। শ্রেণিকক্ষ আছে ১৪ টি। এই অবস্থায় এক শ্রেণির ৪ টি’র বেশি ক্লাস হয় না শিক্ষার্থীদের। কলেজে একদিকে শিক্ষক সংকট, অন্যদিকে গড়ে ৮ জনেরও বেশি শিক্ষক প্রায়ই পাঠদানে অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।
কলেজের ¯œাতক ২য় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বললো, ‘কলেজ অধ্যক্ষই অনিয়মিত, এ কারণে অন্য শিক্ষকরা সুযোগ নেন।’ এমন মন্তব্য একাধিক শিক্ষার্থীর।
কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ভুবনজয় আচার্য্য ২৩ অক্টোবর কলেজে যোগদান করে যাওয়ার পর শনিবারই প্রথম কলেজে এসেছেন। ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূর-এ আলমকে ক্লাসে দেখা যায় কালে-ভদ্রে। এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলামেরও একই অবস্থা। দর্শন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তালেব, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশীদ খান, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, উদ্ভিদ বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক গোলাম আহমদ খান, প্রভাষক সুবীর পাল, প্রাণী বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক জেসমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের ক্ষেত্রে একই ধরনের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
অভিযোগের বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূর-এ-আলম বললেন,‘আমি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি সত্য নয়।’ এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন,‘আমি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকি না। আমার বাড়ি রাজশাহীতে, বাড়ি গেলে যাওয়া-আসায় পথে চার দিন লাগে।’ দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন,‘আমার চেয়ে বেশি ক্লাস কেউ নেয় না।’ গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশীদ খানও পাঠদানে অনুপস্থিত নেই দাবি করে বলেন,‘বাড়ি যাওয়া-আসায় তাঁর কিছুটা সমস্যা হয়।’ এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুর রহমান বলেন,‘আমি নিয়মিত ক্লাস নেই। ডিপার্টমেন্ট প্রধান কম আসেন।’ উদ্ভিদ বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক গোলাম আহমদ খান দাবি করলেন, মাস খানেক হয় যোগদান করেছেন। ক্লাস ফাঁকি দিতে অভ্যস্ত নন তিনি। এই বিভাগের প্রভাষক সুবীর পাল দাবি করলেন, তিনি নিয়মিত থাকেন। বিভাগীয় প্রধান সপ্তাহে ৩-৪ দিন থাকেন। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জেসমিন চৌধুরী নতুন এসেছেন জানিয়ে বললেন,‘ক্লাস কম হয় না। আমি নতুন এসেছি, আগে ডিপার্টমেন্টে একজন ছিলেন।’ এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বললেন,‘ছুটিতে গেলে কেউ না কেউ ক্লাস নেন। থাকলে ক্লাস ঠিকই হয়।’
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুস ছত্তার বলেন,‘সীমাহীন সংকট বিরাজ করছে কলেজে। অবকাঠামো সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন ২৬ টি, আছে ১৪ টি। এ কারণে ক্লাস করা যাচ্ছে না। এমনিতেই শিক্ষক সংকট। এরমধ্যেই পদার্থ, রসায়ন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শনের ৪ শিক্ষককে শহরের মহিলা কলেজেও ক্লাস নেবার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি আরও সমস্যা বাড়িয়েছে। ৮ জন খ-কালীন শিক্ষক নিয়ে কোনভাবে পাঠদান অব্যাহত রাখা হচ্ছে। ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ২৩ তারিখ যোগদান করেছিলেন, তিনি আজ (শনিবার) প্রথম এসেছেন। নূর-এ আলম শনিবার আসেন না। কামরুল ইসলাম বাড়িতে গেলে কয়েকদিন থেকে আসেন। আবু তাহের বাড়ি নির্মাণের জন্য দেড় মাস অনিয়মিত ছিলেন। আব্দুর রশীদের বাড়ি কুমিল্লায়, তিনি অনিয়মিত। শফিকুর রহমানও অনিয়মিত। গোলাম আহমদ খান সিলেট থেকে একদিন পরে পরে আসেন। সুবীর পাল টানা থাকেন না। জেসমিন চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে যাওয়া-আসার মধ্যেই পাঠদান করেন। এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরও নিয়মিত নয়।’
নিজের অনুপস্থিত প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ আব্দুছ ছত্তার বলেন,‘আমি অফিসের উপরেই থাকি। আমি অফিসিয়েল এবং ব্যক্তিগত খুব জরুরি কাজ ছাড়া অনুপস্থিত থেকেছি এটি ছাত্র-শিক্ষক কেউই বোধ হয় বলবেন না।’
অবকাঠামোগত সংকট, শিক্ষক শূন্যতা এবং কোন কোন শিক্ষকের অদায়িত্বশীলতার কারণে সুনামগঞ্জের উচ্চ শিক্ষার প্রধানতম বিদ্যাপীঠে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। একাদশ থেকে মাস্টার্স শ্রেণির পাঠদানের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৮০০। অধ্যক্ষ থেকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পর্যন্ত ৬১ টি পদ থাকলেও আছেন ৩৮ জন। এরমধ্যে ৮ জনেরও অধিক শিক্ষক রয়েছেন যারা শতকরা কমপক্ষে ২৫ ভাগ ক্লাসে অনুপস্থিত থাকেন।
১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ১০ বছর আগে অনার্স চালু হয়। বর্তমানে ১০ টি বিষয়ে অনার্স এবং ৪ টি বিষয়ে মাস্টার্স চালু রয়েছে। কলেজে শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন ২৬ টি। শ্রেণিকক্ষ আছে ১৪ টি। এই অবস্থায় এক শ্রেণির ৪ টি’র বেশি ক্লাস হয় না শিক্ষার্থীদের। কলেজে একদিকে শিক্ষক সংকট, অন্যদিকে গড়ে ৮ জনেরও বেশি শিক্ষক প্রায়ই পাঠদানে অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।
কলেজের ¯œাতক ২য় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বললো, ‘কলেজ অধ্যক্ষই অনিয়মিত, এ কারণে অন্য শিক্ষকরা সুযোগ নেন।’ এমন মন্তব্য একাধিক শিক্ষার্থীর।
কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ভুবনজয় আচার্য্য ২৩ অক্টোবর কলেজে যোগদান করে যাওয়ার পর শনিবারই প্রথম কলেজে এসেছেন। ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূর-এ আলমকে ক্লাসে দেখা যায় কালে-ভদ্রে। এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলামেরও একই অবস্থা। দর্শন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তালেব, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশীদ খান, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, উদ্ভিদ বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক গোলাম আহমদ খান, প্রভাষক সুবীর পাল, প্রাণী বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক জেসমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের ক্ষেত্রে একই ধরনের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
অভিযোগের বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূর-এ-আলম বললেন,‘আমি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি সত্য নয়।’ এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন,‘আমি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকি না। আমার বাড়ি রাজশাহীতে, বাড়ি গেলে যাওয়া-আসায় পথে চার দিন লাগে।’ দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন,‘আমার চেয়ে বেশি ক্লাস কেউ নেয় না।’ গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশীদ খানও পাঠদানে অনুপস্থিত নেই দাবি করে বলেন,‘বাড়ি যাওয়া-আসায় তাঁর কিছুটা সমস্যা হয়।’ এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুর রহমান বলেন,‘আমি নিয়মিত ক্লাস নেই। ডিপার্টমেন্ট প্রধান কম আসেন।’ উদ্ভিদ বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক গোলাম আহমদ খান দাবি করলেন, মাস খানেক হয় যোগদান করেছেন। ক্লাস ফাঁকি দিতে অভ্যস্ত নন তিনি। এই বিভাগের প্রভাষক সুবীর পাল দাবি করলেন, তিনি নিয়মিত থাকেন। বিভাগীয় প্রধান সপ্তাহে ৩-৪ দিন থাকেন। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জেসমিন চৌধুরী নতুন এসেছেন জানিয়ে বললেন,‘ক্লাস কম হয় না। আমি নতুন এসেছি, আগে ডিপার্টমেন্টে একজন ছিলেন।’ এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বললেন,‘ছুটিতে গেলে কেউ না কেউ ক্লাস নেন। থাকলে ক্লাস ঠিকই হয়।’
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুস ছত্তার বলেন,‘সীমাহীন সংকট বিরাজ করছে কলেজে। অবকাঠামো সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন ২৬ টি, আছে ১৪ টি। এ কারণে ক্লাস করা যাচ্ছে না। এমনিতেই শিক্ষক সংকট। এরমধ্যেই পদার্থ, রসায়ন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শনের ৪ শিক্ষককে শহরের মহিলা কলেজেও ক্লাস নেবার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি আরও সমস্যা বাড়িয়েছে। ৮ জন খ-কালীন শিক্ষক নিয়ে কোনভাবে পাঠদান অব্যাহত রাখা হচ্ছে। ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ২৩ তারিখ যোগদান করেছিলেন, তিনি আজ (শনিবার) প্রথম এসেছেন। নূর-এ আলম শনিবার আসেন না। কামরুল ইসলাম বাড়িতে গেলে কয়েকদিন থেকে আসেন। আবু তাহের বাড়ি নির্মাণের জন্য দেড় মাস অনিয়মিত ছিলেন। আব্দুর রশীদের বাড়ি কুমিল্লায়, তিনি অনিয়মিত। শফিকুর রহমানও অনিয়মিত। গোলাম আহমদ খান সিলেট থেকে একদিন পরে পরে আসেন। সুবীর পাল টানা থাকেন না। জেসমিন চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে যাওয়া-আসার মধ্যেই পাঠদান করেন। এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরও নিয়মিত নয়।’
নিজের অনুপস্থিত প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ আব্দুছ ছত্তার বলেন,‘আমি অফিসের উপরেই থাকি। আমি অফিসিয়েল এবং ব্যক্তিগত খুব জরুরি কাজ ছাড়া অনুপস্থিত থেকেছি এটি ছাত্র-শিক্ষক কেউই বোধ হয় বলবেন না।’
Thursday, November 2, 2017
ফেসবুক ইভেন্ট: তাসকিনের বিয়ে মানি না!
আলী রেজা:
তাসকিন আহমেদ। যাকে বলা হয় টাইগার গতিদানব। তবে আগের সেই ফর্ম গত কয়েকটি সিরিজে মেলে ধরতে পারেননি সুদর্শন এই পেসার। তাতে কি, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষিদের সুদৃষ্টি থেকে এক চুলও সরে যাননি তিনি। আর তা না হলে কেন তার বিয়ের খবরে শুভাকাঙ্ক্ষীদের চোখে জল আসবে?
বিয়ে করলে তারকাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে থাকেন ভক্ত, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। কিন্তু তাসকিনের প্রতি টিনএজার বা কিশোরীদের এতই ভালোবাসা যে, টাইগার এই গাতিদানবের বিয়েটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পাচ্ছেন না তারা। তাই কেউবা আড়ালে, আবার কেউবা প্রকাশ্যে কান্নাকাটি করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তাসকিন আহমেদ। বিয়ের পর জীবনের নতুন সময়টাকেও দারুণ উপভোগ করছেন টাইগার এই তারকা পেসার। কিন্তু মানতে পারছেন তার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এখনও অনেকে নিজের হতাশার কথা ব্যক্ত করছেন।
শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে ”তাসকিনের বিয়ে মানি না” বলে ফেসবুকে একটি ইভেন্টও খোলা হয়ে গেছে! তবে, আশার কথা হলো বিয়ের খবর পাওয়ার পর ভক্তরা যেমন আফসোস করছেন, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে শুভকামনাও জানাচ্ছেন প্রিয় খেলোয়াড়কে।
শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে ”তাসকিনের বিয়ে মানি না” বলে ফেসবুকে একটি ইভেন্টও খোলা হয়ে গেছে! তবে, আশার কথা হলো বিয়ের খবর পাওয়ার পর ভক্তরা যেমন আফসোস করছেন, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে শুভকামনাও জানাচ্ছেন প্রিয় খেলোয়াড়কে।
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে সারাদেশে সাধারণ ছাত্ররা জিম্মি হয়ে পড়েছে
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, একের পর এক নজিরবিহীন অপকর্মের ঘৃন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এখন পর্যন্ত এসব সন্ত্রাসের দৃষ্টান্তমূলক কোন বিচার হয়নি। উল্টো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। ফলে ক্যাম্পাস গুলোতে তীব্র অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে সারাদেশে সাধারণ ছাত্ররা জিম্মি হয়ে পড়েছে।
তিনি আজ কুমিল্লার এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির কুমিল্লা অঞ্চলের সদস্য প্রার্থী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক মারুফুল ইসলামের পরিচালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
শিবির সভাপতি বলেন, দেশজুড়ে খুন, হত্যা, টেন্ডারবাজি, ভর্তি-বাণিজ্য আর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ণে এখন এক ত্রাসের নাম ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নজিরবিহীন সন্ত্রাস ও তান্ডবলীলায় ক্যাম্পাসগুলো সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টেন্ডারবাজি,প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস, শিক্ষক লাঞ্চনা মাদক, ইভটিজিং, অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস ও অপকর্মের চারণ ভূমিতে পরিণত করেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ও পুলিশের বলয়ে থাকা এই গুটি কয়েক ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে রেখেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেপরোয়া ছাত্রলীগ পুলিশ ও প্রশাসনের অনৈতিক সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে ভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের খুন, হামলা, নির্যাতন করে যাচ্ছে। যখন তখন হামলা করছে নিরপরাধ ছাত্রদের উপর। বহু ছাত্রনেতা ও সাধারণ ছাত্রকে নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। নির্বিচারে লুটপাট করছে ছাত্রদের ল্যাপটপ, কম্পিউটার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতা আরিফুল ইসলামকে নির্মম নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এর আগেও রাবি’তে ১৩জন নিরপরাধ ছাত্রকে রাতভর নির্যাতন করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রদেরকে বর্বর কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে ছাত্রলীগের ইচ্ছামতই সাধারণ ছাত্রদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। যা ক্যাম্পাস গুলোকে ভীতির উপত্যকায় পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের পরিবর্তে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের ঘৃন্য হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তারা ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দিয়ে উল্লাস করেছিল। মারধর ও অপদস্ত করেছে অনেক সম্মানিত শিক্ষকদে। দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় বার বার বন্ধ হয়েছে। এদের তত্ত্ববধানেই বার বার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যন্ত জড়িত, যা গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসী বহুবার দেখেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব অপকর্মের কোন বিচার হয়নি। সরকার, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতি অব্যাহত মদদ ও সহযোগিতায় প্রমাণ হয় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য মূল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগকে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও মদদ দাতাদের সব কর্মকান্ডই ছাত্রজনতা দেখছে। ছাত্রসমাজ কোন ভাবেই এই অপতৎপরতা মেনে নেবে না। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ক্যাম্পাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে ডিজিটাল জালিয়াতিতে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্যাম্পাসে সবার সহবস্থান ও শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির বরাবরই সাধারন ছাত্রদরে অধিকাার আদায়ে সোচ্চার। ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, বেতন বৃদ্ধি, বিভিন্ন ফি বৃদ্ধি সহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শিবির সব সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আগামী দিনেও সাধারণ ছাত্রদের যেকোনো অধিকার আদায়ে ছাত্রশিবির সাধারণ ছাত্রদের সাথে নিয়ে ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ
তিনি আজ কুমিল্লার এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির কুমিল্লা অঞ্চলের সদস্য প্রার্থী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক মারুফুল ইসলামের পরিচালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
শিবির সভাপতি বলেন, দেশজুড়ে খুন, হত্যা, টেন্ডারবাজি, ভর্তি-বাণিজ্য আর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ণে এখন এক ত্রাসের নাম ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নজিরবিহীন সন্ত্রাস ও তান্ডবলীলায় ক্যাম্পাসগুলো সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টেন্ডারবাজি,প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস, শিক্ষক লাঞ্চনা মাদক, ইভটিজিং, অস্ত্রবাজি, সন্ত্রাস ও অপকর্মের চারণ ভূমিতে পরিণত করেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ও পুলিশের বলয়ে থাকা এই গুটি কয়েক ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে রেখেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেপরোয়া ছাত্রলীগ পুলিশ ও প্রশাসনের অনৈতিক সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে ভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের খুন, হামলা, নির্যাতন করে যাচ্ছে। যখন তখন হামলা করছে নিরপরাধ ছাত্রদের উপর। বহু ছাত্রনেতা ও সাধারণ ছাত্রকে নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। নির্বিচারে লুটপাট করছে ছাত্রদের ল্যাপটপ, কম্পিউটার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতা আরিফুল ইসলামকে নির্মম নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এর আগেও রাবি’তে ১৩জন নিরপরাধ ছাত্রকে রাতভর নির্যাতন করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রদেরকে বর্বর কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে ছাত্রলীগের ইচ্ছামতই সাধারণ ছাত্রদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। যা ক্যাম্পাস গুলোকে ভীতির উপত্যকায় পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ছাত্রদের অধিকার আদায়ের পরিবর্তে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের ঘৃন্য হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তারা ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দিয়ে উল্লাস করেছিল। মারধর ও অপদস্ত করেছে অনেক সম্মানিত শিক্ষকদে। দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় বার বার বন্ধ হয়েছে। এদের তত্ত্ববধানেই বার বার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যন্ত জড়িত, যা গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসী বহুবার দেখেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব অপকর্মের কোন বিচার হয়নি। সরকার, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতি অব্যাহত মদদ ও সহযোগিতায় প্রমাণ হয় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য মূল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগকে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও মদদ দাতাদের সব কর্মকান্ডই ছাত্রজনতা দেখছে। ছাত্রসমাজ কোন ভাবেই এই অপতৎপরতা মেনে নেবে না। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ক্যাম্পাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে ডিজিটাল জালিয়াতিতে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্যাম্পাসে সবার সহবস্থান ও শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির বরাবরই সাধারন ছাত্রদরে অধিকাার আদায়ে সোচ্চার। ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, বেতন বৃদ্ধি, বিভিন্ন ফি বৃদ্ধি সহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শিবির সব সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আগামী দিনেও সাধারণ ছাত্রদের যেকোনো অধিকার আদায়ে ছাত্রশিবির সাধারণ ছাত্রদের সাথে নিয়ে ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ
Wednesday, November 1, 2017
বিয়ে নিয়ে যা বললেন তাসকিন
Jamalganj24:
জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ তাজিম। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করে এসেই অনেকটা তড়িঘরি বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়লেন। বিয়ে হয়েছে রাজধানীর লালমাটিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে। নতুন জীবনের সময়গুলো দারুণ উপভোগ করলেও বিয়ের খবরটা আগে না জানাতে পারায় ভক্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সময় করে সবাইকে জানিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করবেন।
বুধবার ব্যস্ততার ফাঁকেই মুঠোফোনে বিডি মনিংকে তাসকিন বলেন, জীবনের নতুন সময়টাকেও দারুণ উপভোগ করছি ‘বিয়ের পর আত্মীয়-বন্ধুদের বাসায় যাচ্ছি,। “ঘরোয়াভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করায় অনেককে জানাতে পারিনি। সেজন্য আমি দুঃখিত আশাকরি সময় করে সবাইকে জানিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান করব।”
জানা গেছে, তাসকিনের স্ত্রী সৈয়দা রাবেয়া নাঈমা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তাসকিনও পড়ছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাঈমার সঙ্গে দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় মন দেয়া-নেয়ার পর্ব শেষ হয়। এরপর একসাথে কাটিয়েছেন দীর্ঘ সাত বছর। পাশাপাশি এলাকায় থাকা, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা সবকিছুই চলছিল সবার আড়ালে। বিষয়টি দুই পরিবারে মধ্যে জানাজানি পর গতবছর পারিবারিকভাবে তাসকিন ও নাঈমার আংটি বদল হয়। এরপর থেকেই বিয়ের প্রস্তুতির জন্য তৈরি হচ্ছে ছিলেন দু’পরিবার।
তবে হুট করেই যে বিয়েটা হয়ে যাবে তা নিজেও বুঝে উঠতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন ২২ বছর বয়সী এ পেসার বলেন, “খেলায় আরও ফোকাস বাড়ানোর জন্য, জীবনটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে নেয়ার জন্য বিয়েটা করে ফেলেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহর হুকুম হয়েছে সেজন্যই হয়ে গেছে। দেশবাসীকে বলবো আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এবং আগের মতো যেন খেলার মাঠে ফিরে আসতে পারি সেজন্যও দোয়া করবেন।”
বিয়েতে সতীর্থদের দাওয়াত করেছিলেন তাসকিন। কিন্তু দেশে ফিরেই বিপিএলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। তাই তাসকিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি জাতীয় দলে তাসকিনের সতীর্থরা। তবে ছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তুজা ও তার পরিবার। তাসকিনের সঙ্গে বরাবরই খুব ভালো সম্পর্ক মাশরাফির।

হাওরপাড়ের মানুষের কষ্ট- উঠোনে বিদ্যুৎ থাকলেও ৬৫০ টাকার জন্য ঘরে নেই বিদ্যুৎ
রোহান, জামালগঞ্জ:
সরকারি খরচে বাড়ির সামনে গেছে বিদ্যুতের খোঁটা, কিন্তু জামানতের মাত্র ৬৫০ টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওরপাড়ের প্রান্তিক কৃষকদের অনেক পরিবারই বিদ্যুৎ নিতে পারছেন না। বিগত ফসল মৌসুমে হাওরডুবে সর্বশান্ত মানুষগুলোর কাছে বাড়ির সামনের বিদ্যুতের খোঁটাগুলোও এখন আনন্দের বদলে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাগনার হাওরপাড়ের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের উজান লালপুর গ্রামের নাজমা আক্তার বললেন,‘পেটে ভাত নাই, ঘরে একবেলা খাওনের চাল নেই। প্রতিবেশির কাছেও সাহায্যের জন্য হাত বাড়ানোর উপায় নেই। সকলেরই এক অবস্থা। এই অবস্থায় বিদ্যুতের খোঁটা দেখা ছাড়া করার কিছু নেই, এটি আমাদের জন্য আরেক কষ্ট, সরকার আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন করেছেন, কিন্তু আমরা সামান্য টাকারও ব্যবস্থা করতে পারছি না।’
কেবল নাজমা আক্তার নয়, উজান লালপুর ও শরিফপুরের প্রায় ৩৬৬ পরিবারই এমন কষ্ট সহ্য করছেন। তাঁদের বাড়ির উঠোনে বিদ্যুতের খোঁটা কিন্তু ঘরে বিদ্যুৎ নেই।
উজান লালপুর গ্রামের সাজেদা বেগম, আফরোজা বেগম, সুরেশা বেগম, কুলফিয়া বেগম, ফুলেমা বেগম জানালেন গ্রামের ২৬০টি পরিবারের তারা ৬০-৭০ টি পরিবার রয়েছেন, যাদের এবার একবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা হলে, আরেক বেলা নিয়ে চিন্তায়
থাকতে হয়। এই অবস্থায় ৬৫০ টাকার ব্যবস্থা হচ্ছে না তাঁদের। যারা গরু বিক্রি বা জমি বন্ধক রেখে টাকা এনেছেন, তাদের কেউ কেউ বিদ্যুৎ ঘরে নিয়েছেন। ১০০ পরিবার এখনও বিদ্যুৎ নিতে পারেনি।
শরীফপুর গ্রামেরও একই অবস্থা। গ্রামের মোট পরিবারের সংখ্যা ৩৩৬ টি এরমধ্যে ১৭০ টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন। বাকী ১৬৬ টি পরিবার এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারছেন না।
গ্রামের ফরিদ মিয়া ভিক্ষা বৃত্তি করে সংসার চালান, কিতাব আলীর একই অবস্থা। কিন্তু বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খোঁটা দেখে তাঁরা খুশি। বললেন,‘৬৫০ টাকারও ব্যবস্থা হবে না, বিদ্যুৎ নিতেও পারবো না।’
ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন,‘আমার ওয়ার্ডে অনেক পরিবার আছেন হতদরিদ্র,তারা জামানতসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে না পারায় বিদ্যুৎতের সংযোগ নিতে পারছেন না।’
উজান লালপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শুক্কুর আলী বলেন,‘আমার গ্রামে ২৬০টি পরিবারের মধ্যে ২০০ পরিবার এখনো টাকা জমা দিতে পারেননি।’
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎতের জেনারেল ম্যানেজার সোহেল পারভেজ বলেন, ‘প্রতিটি গ্রাহককেই ৬৫০ টাকা করে জমা দিতে হয়, এই টাকাটা গ্রাহকের হিসাবেই থাকবে, যখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চাইবেন, তখনই টাকা ফেরৎ পাবেন গ্রাহক।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন,‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। এখন যারা একেবারেই হতদরিদ্র তাদের বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখবো।’

জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের স্থান নিয়ে সদস্যদের আপত্তি
জামালগঞ্জ প্রতিনিধি: Jamalganj24
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারন নিয়ে পরিষদের ইউপি সদস্য ও সদস্যারা লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আপত্তি দেন তারা।
আপত্তিকারীরা হলেন জামালগঞ্জ সদরের ইউপি সদস্য আশেক নূর, শহিদুল ইসলাম সোহেল, আনোয়ার হোসেন, মোছা: গোলছেরা বেগম ও হাবিবুর রহমান।
আপত্তিকারীদের দাবি জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়্রাম্যান শামসুল আলম ঝুনু মিয়া ও তার ছেলে সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার ইউনিয়নের কাউকে না জানিয়ে উপজেলা সদর
থেকে সরিয়ে লক্ষীপুরে ইউনিয়ন ভবনের স্থান নির্ধারণ করেছেন।
আপত্তিতে ইউপি সদস্যগণ উল্লেখ করেন, আমরা জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যগণ জানতে পারলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভূমি অফিসারসহ অন্যান্য কর্মচারীগণ ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কোন এক স্থান সরেজমিন পরির্দশন করেছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এলাকার জনসাধারণসহ আমরা ইউনিয়ন পরিষদের কোন জনপ্রতিনিধিগণ এ বিষয়ে অবগত নই।
আপত্তির বিষয়ে জামালগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার বলেন,‘বছর দুয়েক আগেই আমার পিতা উপজেলা চেয়ারম্যান নতুন ভবনের জন্য আমাদের গ্রাম লক্ষীপুরে জায়গা রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। তখন আমার ছোট চাচা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন,‘জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবনের বিষয়ে একটি আপত্তি পেয়েছি। যদি ইউপি সদস্য সদস্যগণ ও জনগণ না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই গণশুনানীর ব্যবস্থা করা হবে।’
Tuesday, October 31, 2017
জামালগঞ্জে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষনের দায়ে প্রেমিক জেল হাজতে
[আলী রেজা জামালগঞ্জ প্রতিনিধি] সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সাচনা গ্রামের নামাহাটিতে মন দেওয়া নেওয়ার ও প্রেম নিবেদনের মাধ্যমে অবৈধ শারীরিক সর্ম্পক গড়ে উঠে সাচনা নতুন পাড়া গ্রামের পিতা বিকাশ পাল মাতা দিপালী পাল এর ছেলে সুভাষ পাল (প্রাণেষ)২৪। একই গ্রামের রিপন দাসের মেয়ে বন্যার। শুধু তাই না সময় অসময়ে নানা কৌশল প্রলোভন অবলম্বন করে দিন দিন গভীর সর্ম্পকে জড়িয়ে যায় রিপন দাসের মেয়ের সাথে সুভাষ পাল (প্রাণেষ)। সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে প্রেমিকা বন্যা জানায়, ০৭ই অক্টোবর শনিবার রাতে বাড়ীতে কোন লোক না থাকায় এই সুযোগে আমার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে যাওয়ার সময় রিপন দাসের মেয়ে বন্যা চিৎকার দিলে পার্শ্ববতী ঘরে থাকা তার কাকি(চাচি) ও আশপাশের লোক জন এসে সুভাষ পাল (প্রাণেষ) কে আটক করলে সে বিয়ে করবে বলে অনয় বিনয় করলে মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে নিরবে ছেড়ে দেওয়া হয়। পড় থেকে তার আর কোন খবর পাওয়া যায় নি। শুধু তাই না সময়ের প্রয়োজনে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে। মেয়ের পিতা অবস্তা বেগতিক দেখে বিষয়টি নিয়ে রিপন দাশ গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা আপোষে শেষ করার ব্যাপারে আসস্থ করে। পরে গ্রামে মৃত জীতেন্দ্র দাশের বাড়িতে শালিশ বসলে বিচারের কোন সূরাহা পাওয়া যায়নি। কোনো সুষ্ঠ বিচার না পেয়ে রিপন দাসের মেয়ে ধর্ষিতা বন্যা বাদী হয়ে গত ১৩/১০/২০১৭ ইং তারিখে জামালগঞ্জ থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত২০০৩) এর ৯(১) মামলা দায়ের করেন,মামলা নাম্বার ০৯। মামলা দায়েরের পর জামালগঞ্জ থানার পুলিশ বিকাশ পালের ছেলে সুভাষ পাল (প্রাণেষ) কে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করে। গ্রেপ্তারের পর গ্রামে থমথমে ভাব বিরাজ করে, শুরু হয় দৌড় ঝাপ,একই গ্রামের গরীব অসহায় প্রেমিকার পিতা রিপন দাসকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দামকি । জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সাচনা গ্রামের তৃষ্ণা রানী দাস,বিরাজ দাস,বিরনী রানী দাস,মায়া রানী দাস,যিশু দাস জানান, ঘঠনাটি আমরা বহুদিন থেকে জানি। আমাদের পার্শ্ববর্তী ঘর তার আসা যাওয়া টের পাই, ঘঠনার দিন রাতের আধারে, বিষয়টি আমরা দেখে ফেলায় সুভাষ পাল (প্রাণেষ) ঘঠনাটি কারও কাছে না বলার জন্য আমাদের অনুরোধ করে, এবং বিয়ে করবে বলে জানায়। রিপন দাসের মেয়ের বন্যার সাথে সর্ম্পকের কথা জানতে চাইলে বলে, তার সাথে সম্পর্ক ০৭ (সাত) বছর ধরে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের ব্যাপারে কথা বার্তা হলে সুভাষ পাল (প্রাণেষ) বর পক্ষকে ফোন করে সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়। এবং বিয়ে করবে বলে বর পক্ষকে জানায়, এছাড়াও আরও প্রমাণ চাইলে মেয়ের হাতে থাকা মোবাইলের একটি ২১ মিনিট প্রায় কল রের্কড শুনায় এবং মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটের কথা বার্তার রের্কড দেখায়। পরে সুভাষ পাল (প্রাণেষ) হাতের আঙ্গুল কেটে তার নিজ রক্ত দিয়ে মেয়ের নাম লিখে কয়েকটি চিঠির হার্ড কপি উপহার দেয়, গত প্রায় এক বছর যাবৎ সুভাষ পাল দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু ছবি সামাজিক যোগায়োগ মাধ্যম ফেইসবুক ইন্টারনেটে প্রচার করবে বলে হুমকী দিয়ে বলে আমার সাথে শারিরিক/দৈহিক সর্ম্পক অব্যহত না রাখলে তুমার মান সম্মান ধুলিসাৎত করে দেবো। প্রেমিকা এ প্রতিনিধিকে জানায়,এখন বিকাশ পালের ছেলে সুভাষ পাল প্রাণেষ কে জীবন সঙ্গী হিসেবে না পেলে যে কোন সময় আত্যহত্যা করবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সুভাষ পালের পিতা বিকাশ পাল সাচনা গ্রামের প্রভাবশালী লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ, টাকা পয়সার জোরে সম্পর্কের বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার পায়তাড়ায় লিপ্ত রহিয়াছে। লোক মুখে বিকাশ পালকে বলতে শুনা যায় রিপন দাসের জাত একটা আমার জাত আরেকটা, এ বিয়ে হয় কি ভাবে। ছেলের পিতা বিকাশ পালের সাথে মোবাইল ফোনে বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে পরে কথা বলব বলে ফোন রেখে দেন। সাচনা গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা বিমল দাস জানান,বিষয়টি নিয়ে আমরা বসে ছিলাম আপোষ মিমাংসা হয়নি। জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রজব আলী জানান,আমরা ও গ্রামের সবাই মিলে চেষ্টা করেছি কিন্তু সূরাহা হয়নি। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী জামালগঞ্জ থানার এস আই সাইফুল্লাহ আখন্দ জানান, আসামী জেল হাজতে আছে। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে, রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
Monday, October 30, 2017

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্টীর ৪৯ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী ও সুবর্ন জয়ন্তীতে পদার্পণ অনুষ্টান চলছে জামালগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীতে
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্টীর ৪৯ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী ও সুবর্ন জয়ন্তীতে পদার্পণ অনুষ্টান চলছে জামালগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীতে । রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী তে সংগঠনের সভাপতি অাকবর হেসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম অাল ইমরান। সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি সুকেশ রঞ্জন তালুকদার। ৫২ ভাষা অান্দোলন, ৬২ শিক্ষা, ৬৬ ছয় দফা, ৬৯এর গনঅভ্যুথান,৭০ এর নির্বাচন, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারন মুলক বক্তব্য রাখেন কমরেড অজিত লাল রায়,এড: অাসাদ উল্লাহ সরকার,মোক্তার হোসেন তালুকদার, নিখিল তালুকদার, হরেন্দ্র তালুকদার,মদরিছ অালী,দীজেন্দ্র লাল দাস,বিধান ভুষন চক্রবতী,জামিল অাহমদ জুয়েল। অনুষ্টানে অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান চৌধুরী,পংকজ পাল চৌধুরী,,বিপ্লব বনিক,প্রেসক্লাব
Tuesday, October 24, 2017

সিলেটে ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৭ বছরে ১১ খুন! যারা নিজ সংগঠনেই খুন করতে দ্বিধা করেনা অন্য সংগঠনের ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভংঙ্গী সহজেই অনুমেয়।
সিলেটে ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৭ বছরে ১১ খুন!
যারা নিজ সংগঠনেই খুন করতে দ্বিধা করেনা অন্য সংগঠনের
ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভংঙ্গী সহজেই অনুমেয়।
হতে চান সফল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার গাইড লাইন আপনার জন্য.. কিভাবে শুরু করব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপিং ?সত্যিকারার্থেই যারা অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার হতে চায় তাদের জন্য পোস্টটি ।
অ্যান্ড্রয়েড হল বর্তমান যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এটি গুগল দ্বারা পরিচালিত এবং সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স একটি প্লাটফরম। এর জনপ্রিয়তার মূল কারন হল এটি সহজেই ব্যবহার যোগ্য এবং প্লে-স্টোর এ প্রচুর পরিমানে ফ্রি ।
কাজের কথাই আসি , অ্যান্ড্রয়েড মূলত Java প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর মাধ্যমে তৈরী, এবং ইন্টারফেস তৈরীর জন্য XML ব্যবহার করা হয়েছিল।মূলত একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরীর জন্য এই দুটি ল্যাংগুয়েজ জানাই যথেষ্ট।
Android App তৈরীর করার জন্য অন্য পদ্ধতি ও গ্রহন করা যেতে পারে।
Hybrid পদ্ধতি বা Webview পদ্ধতি, কিন্তু এই পদ্ধতিগুলো Native পদ্ধতির মতো সব ধরনের সুযোগ প্রদান করে থাকে না। যে কেউ Java I Xmlএই দুই সহজ ও সাবলীল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এ ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
কখন আপনি শুরু করবেন
যারা কম্পিউটার সায়েন্স এ লেখা পড়া করে তাদের জন্য থার্ড ইয়ারের শেষের দিকে শুরুটা করা ভাল । এর আগ পর্যন্ত প্রোগ্রামিং এর বিভিন্ন ট্রিক্সগুলো , প্রবলেম সলভিং, ডেটা স্ট্রাকচার, অ্যালগরিদম, ডেটাবেজ, ওওপি, নাম্বার থিওরি ইত্যাদি ভাল করে শিখতে হবে। একেকটা ডেটা স্ট্রাকচার বা অ্যালগরিদমের কনসেপ্টটা বুঝতে আপনার হয়ত কয়েক ঘন্টা লাগবে।যদি ডেটা স্ট্রাকচার, অ্যালগরিদম, ওওপি, ডেটাবেজের আইডিয়া ক্লিয়ার না থাকে তাহলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে গিয়ে হোঁচট খাবেন।কিন্তু যারা একদম নতুন করে শুরু করবেন তাদের জন্য জাভা দিয়েই শুরু
করাই ভাল।
অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্টের শেখার পূর্বশর্ত
জাভা দিয়েই শুরু করলে ব্যাসিকটা পাকাপোক্ত হবে । কিছু টপিক ভালভাবে আত্মস্থ করতেই হবে ।
মাস তিনেকের মধ্যে এই টপিকগুলো নিয়ে ভাল রকমের প্র্যাকটিস করা সম্ভব।
- Java input and output from console
- Simple arithmetic and bitwise operation
- IF-Else
- Loop
- Array
- ArrayList
- List
- HashMap
- Stack class
- Queue class
- StringBuffer class
- String class
- Date and time-related classes
- File input and output
- Linear Search
- Binary Search
- Bubble Sort
- Quick Sort
- Sieve of Eratosthenes
- DFS
- BFS
- Inheritance
- Interface
- Method overloading
- Method overriding
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের শিক্ষা শুরু করুন
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী IDE হচ্ছে Android Studio. এটাডাউনলোড করে আপনার পিসি তে ইন্সটল দিন । ইন্সটল করার সময় কোনো ঝামেলা হলে ইউটিউবের ভিডিও দেখে ঠিক করে নিন। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখার মুলতন্ত্র হল পর্যাপ্ত ধৈর্য।
ইউটিউবে অনেক বিগিনার লেভেলের ভিডিও টিউটোরিয়াল সিরিজ আছে। সেগুলো দেখে নিয়মিত প্র্যাকটিস করা যেতে পারে।
Udacity
The New Boston
Android Official Documentation
Awesome Android Complete Reference
Developers Blog
Android Hive
CodePath
Tutorials Point
Vogella
Java Point
The Busy Coder’s Guide to Android Development (Book)
Head First Android (Book)
অ্যাপটি তৈরীর পর অনেক গুলো ডিভাইসে চালিয়ে দেখুন
এই পদ্ধতির মাধ্যমে সকল প্রকার Runtime Bugs আপনার চোখে ধরা পড়বে বিভিন্ন ডিভাইস এর বিভিন্ন ধরণের কনফিগারেশন থাকে তাই আপনার অ্যাপটির কোন ফিচার নিদ্রিষ্ট কোন ডিভাইস এ ঠিক মত কাজ না করলে ইউজার কে সমস্যা টি ডায়লগ বক্স এর মাধ্যমে দেখার ফলে আপানার অ্যাপ এর ওপর তার বিরূপ দৃষ্টি পড়বে না |
Emualator এর মাধ্যামে app test করুন
পনার অ্যাপটি সব ডিভাইসে ঠিকমত কাজ করবে কিনা বোঝার জন্য অনেক গুলো ডিভাইসে চালিয়ে দেখা উচিত, কিন্তু বিভিন্ন কনফিগ এর ডিভাইস কেনা ব্যায়বহুল তাই ভারর্চুুয়াল ডিভাইস ব্যবহার করুন
Admov ব্যবহার করুন Ads প্রদর্শনের জন্য
অনেক গুলো Ads service একত্রে ব্যবহার করবেন না এতে করে আপনার অ্যাপ এর ইমপ্রেরশন নষ্ট হবে ইউজারদের কাছে, কারন ইউজাররা অ্যাপটি ব্যবহার কালে Ads প্রদর্শিত হলে
বিরক্ত বোধ করেন তাই এই বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝে তারপর ads প্রদর্শন করান |
আপনি Android Studio তে যত বেশি সময় ব্যায় করবেন ততবেশি IDE টির সাথে পরিচিত হবেন যেটা আপনাকে একজন ভালো ডেভেলপার হিসেবে প্রতিষ্টিত করবে |
Android সম্পর্কে ভাল টিপস পেতে ভিসিট করুনএখানে

এম কে আনোয়ারের ইন্তেকালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শোকবার্তা
নয়াপল্টন
তারিখ : ২৪ অক্টোবর ২০১৭
সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কেবিনেট সচিব এবং বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ এম কে আনোয়ার গতরাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, “দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ এম কে আনোয়ার এর মৃত্যুতে তাঁর পরিবারবর্গের মতো আমিও গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত হয়েছি। আমি তাঁর আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। সজ্জন, মিতবাক, নিয়মনিষ্ঠ, কথা ও কাজে অসাধারণ সামঞ্জস্য ছিল মরহুম এম কে আনোয়ার এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
তাঁর সততা ও নিষ্ঠা ছিল ইর্ষণীয় উচ্চতায়। সেই কারণেই পেশাগত জীবনে সরকারী সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থেকেও তিনি তাঁর অমলিন ব্যক্তি-মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনেও তিনি নিজ আদর্শে অটল থেকে রাজনৈতিক সংগ্রাম ও জনগণের সেবা করে গেছেন। রাজরোষে পড়া সত্ত্বেও তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেননি, তাই বারবার কারাবরণসহ নিপীড়ণ-নির্যাত ন সহ্য করেও নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে অগণতান্ত্রিক সরকারের অসদাচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গেছেন।
জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি কখনোই কোন অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে মাথানত করেননি। গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের আন্দোলনে সবসময় থেকেছেন সামনের কাতারে। নিজ এলাকায় শিক্ষার প্রসার ও জনকল্যানমূলক কাজেও তাঁর অবদান স্মরণীয়। তাই জনগণের নিকট প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার কারণেই আদর্শনিষ্ঠ জনাব এম কে আনোয়ার বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনকে বুকে ধারন করে জনাব এম কে আনোয়ার স্বদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
রাজনীতিতে যোগ দিয়ে যখনই গণতন্ত্র বিপদাপন্ন হয়েছে তখনই স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়নের জন্য এম কে আনোয়ার এর গৌরবময় অবদান দেশবাসী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যু জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য মর্মস্পর্শী। জনাব এম কে আনোয়ার এর মৃত্যু দেশবাসী ও দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদে র প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
তারিখ : ২৪ অক্টোবর ২০১৭
সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কেবিনেট সচিব এবং বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ এম কে আনোয়ার গতরাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, “দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ এম কে আনোয়ার এর মৃত্যুতে তাঁর পরিবারবর্গের মতো আমিও গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত হয়েছি। আমি তাঁর আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। সজ্জন, মিতবাক, নিয়মনিষ্ঠ, কথা ও কাজে অসাধারণ সামঞ্জস্য ছিল মরহুম এম কে আনোয়ার এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
তাঁর সততা ও নিষ্ঠা ছিল ইর্ষণীয় উচ্চতায়। সেই কারণেই পেশাগত জীবনে সরকারী সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থেকেও তিনি তাঁর অমলিন ব্যক্তি-মর্যাদা
জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি কখনোই কোন অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে মাথানত করেননি। গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের আন্দোলনে সবসময় থেকেছেন সামনের কাতারে। নিজ এলাকায় শিক্ষার প্রসার ও জনকল্যানমূলক কাজেও তাঁর অবদান স্মরণীয়। তাই জনগণের নিকট প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার কারণেই আদর্শনিষ্ঠ জনাব এম কে আনোয়ার বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনকে বুকে ধারন করে জনাব এম কে আনোয়ার স্বদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
রাজনীতিতে যোগ দিয়ে যখনই গণতন্ত্র বিপদাপন্ন হয়েছে তখনই স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়নের জন্য এম কে আনোয়ার এর গৌরবময় অবদান দেশবাসী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যু জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য মর্মস্পর্শী। জনাব এম কে আনোয়ার এর মৃত্যু দেশবাসী ও দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদে
(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
Monday, October 23, 2017
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে এমএ মান্নান মেডিকেল কলেজ মদনপুরে হচ্ছে
দ.সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর প্রতিনিধি (মান্নান)
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সুনামগঞ্জের মদনপুরে ৫শত শয্যার মেডিকেল কলেজ হচ্ছে যাতে করে ভাটি গ্রামের ’মানুষরা সহজেই চিকিৎসা সেবা পাওয়ার পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের ছেলে মেয়েরা সহজেই ডাক্তারি লাইনে লেখাপড়া করতে পারে।’ তিনি বলেন, আমার সুনামগঞ্জে নার্সিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সুনামগঞ্জে বিশ^বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে আগে পরিকল্পনা করতে হয়, আমরা পরিকল্পনা করেছি, দেশের কোথায় কি করতে হবে। আর সে লক্ষেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবার আগে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-যোগাযোগ-বিদ্যুৎ এর উন্নয়ন ব্যাপক ভাবে করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার আরও উন্নয়ন করতে চায়। এ দেশে এমন কোন গ্রাম থাকবে না যে গ্রামে রাস্তা নাই, বিদ্যুৎ নাই, স্কুল নাই। আমরা গ্রামকে শহরে পরিণত করতে চাই।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের রামেশ^রপুর বাজারে ইউনিয়নের কুতুবপুর, ঢালাগাঁও, কিদিরপুর, কাঠালিয়া, রামেশ^রপুর, রামেশ^পুর বাজার ও সরদারপুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।
সভায় শিমুলবাক ইউনিয়নের ঢালাগাঁও গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি মো. আশকর আলীর সভাপতিত্বে ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হারুন অর রশীদ, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. সুহেল পারভেজ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি তহুর আলী, মাও. আব্দুল কাইয়ূম, সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক ফরিদুর রহমান।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগ সহ সভাপতি অ্যাড. বুরহান উদ্দিন দোলন, সিনিয়র সহ সভাপতি প্রভাষক নুর হোসেন, সহ সভাপতি জুবেল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুজন, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক শাকির আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগ সদস্য মো. মাসুক মিয়া, শাব্বির আহমদ, জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন, উপজেলা কৃষকলীগ নেতা ফয়জুর রহমান, উপজেলা যুবলীগ নেতা মাসদ পারভেজ, লিয়াকত আলী, মাস্টার আব্দুল হক, আব্দুল হাসিম, অরুন দত্ত, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, কাচম আলী, আজমত আলী, আব্দুল মনাফ, মাও. এনায়েতুল হক প্রমুখ।
ভার শুরুতেই অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বিদ্যুতের সুইচ টিপে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন।
এর আগে শনিবার জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মন্ত্রী এমএ মান্নানকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ আয়োজন করা হয় যেখানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। মীরপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল খালিক’র সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, মীরপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরমুজ আলী।
Saturday, October 21, 2017

বীর মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ চন্দ্র তালুকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান
আলম হোসেন:
সুনামগঞ্জের জামালাগঞ্জ থানার ভাটি বাংলা উত্তর দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (অব.) শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ চন্দ্র তালুকদার গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পরলোক গমন করায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় শামীমাবাদস্থ তার নিজ বাড়িতে রাষ্ট্রীয় সম্মানা প্রদান করেন ভূমি সদর সিলেটের সহকারী কমিশনার রুজিনা আক্তার। পরে চালিবন্দর মহাশশ্মান ঘাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ চন্দ্র তালুকদারের শেষকীর্ত সম্পন্ন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর ইউনিট কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অলিউর রহমান, রঞ্জিত কুমার পুরকায়স্থ, এটিএন বাংলা ইউকের ব্যুারো চীফ মোঃ শফিকুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ নেতা রেন্টু তালুকদার, অমরেশ সরকার, সুরুজ তালুকদার, হিমাংশু সরকার, বিপুল তালুকদার, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য মুরশেদ আহমদ রানা সহ, রাজনৈতিক, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Friday, October 20, 2017

বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয়- প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা
স্টাফ রিপোর্টার
জামালগঞ্জের বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতি রঞ্জন পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি ফি আদায় ও বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বেহেলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্মাল্য কান্তি রায় বাদী হয়ে আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-জামালগঞ্জ-এ মামলা দায়ের করেছেন।
আদালত মামলটি আমলে নিয়ে জামালগঞ্জ থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নিরঞ্জন তালুকদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্মাল্য কান্তি রায় চলতি বছরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এর পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে জানতে পারেন বিদ্যালয়ের
একাউন্টে কোন টাকা নেই, শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও ব্যাংকে ঠিকমত জমা হয়নি। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের নির্ধারিত ফি’র বাকী টাকা বিদ্যালয়ের একাউন্টে জমা দেয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান ও সাবেক সদস্যরা অভিযোগ করেন, ফি’র টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন এবং ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা (অডিট) করা হয়। নিরীক্ষা কমিটি জানতে পারেন শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ব্যাংকে জমা হয়নি। নিরীক্ষার পর প্রধান শিক্ষক প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তিনি টাকা ব্যাংকে জমা দেননি। প্রভিডেন্ট ফান্ডের হিসাব নিয়ে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ২০১২ সাল থেকে ঠিকমত টাকা জমা দিচ্ছেন না। প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি ও পুনঃভর্তিসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় হয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী স্কুলের সমস্ত আয় বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় না। গত জানুয়ারি মাসে টাকা জমা হয়নি। এর আগের বছরের টাকাও তিনি ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখেছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জানতে পেরেয়েছেন প্রধান শিক্ষক চলতি বছর ও অতীতেও বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন।