অ্যান্ড্রয়েড হল বর্তমান যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এটি গুগল দ্বারা পরিচালিত এবং সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স একটি প্লাটফরম। এর জনপ্রিয়তার মূল কারন হল এটি সহজেই ব্যবহার যোগ্য এবং প্লে-স্টোর এ প্রচুর পরিমানে ফ্রি ।
কাজের কথাই আসি , অ্যান্ড্রয়েড মূলত Java প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর মাধ্যমে তৈরী, এবং ইন্টারফেস তৈরীর জন্য XML ব্যবহার করা হয়েছিল।মূলত একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরীর জন্য এই দুটি ল্যাংগুয়েজ জানাই যথেষ্ট।
Android App তৈরীর করার জন্য অন্য পদ্ধতি ও গ্রহন করা যেতে পারে।
Hybrid পদ্ধতি বা Webview পদ্ধতি, কিন্তু এই পদ্ধতিগুলো Native পদ্ধতির মতো সব ধরনের সুযোগ প্রদান করে থাকে না। যে কেউ Java I Xmlএই দুই সহজ ও সাবলীল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এ ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
কখন আপনি শুরু করবেন
যারা কম্পিউটার সায়েন্স এ লেখা পড়া করে তাদের জন্য থার্ড ইয়ারের শেষের দিকে শুরুটা করা ভাল । এর আগ পর্যন্ত প্রোগ্রামিং এর বিভিন্ন ট্রিক্সগুলো , প্রবলেম সলভিং, ডেটা স্ট্রাকচার, অ্যালগরিদম, ডেটাবেজ, ওওপি, নাম্বার থিওরি ইত্যাদি ভাল করে শিখতে হবে। একেকটা ডেটা স্ট্রাকচার বা অ্যালগরিদমের কনসেপ্টটা বুঝতে আপনার হয়ত কয়েক ঘন্টা লাগবে।যদি ডেটা স্ট্রাকচার, অ্যালগরিদম, ওওপি, ডেটাবেজের আইডিয়া ক্লিয়ার না থাকে তাহলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে গিয়ে হোঁচট খাবেন।কিন্তু যারা একদম নতুন করে শুরু করবেন তাদের জন্য জাভা দিয়েই শুরু
করাই ভাল।
অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্টের শেখার পূর্বশর্ত
জাভা দিয়েই শুরু করলে ব্যাসিকটা পাকাপোক্ত হবে । কিছু টপিক ভালভাবে আত্মস্থ করতেই হবে ।
মাস তিনেকের মধ্যে এই টপিকগুলো নিয়ে ভাল রকমের প্র্যাকটিস করা সম্ভব।
- Java input and output from console
- Simple arithmetic and bitwise operation
- IF-Else
- Loop
- Array
- ArrayList
- List
- HashMap
- Stack class
- Queue class
- StringBuffer class
- String class
- Date and time-related classes
- File input and output
- Linear Search
- Binary Search
- Bubble Sort
- Quick Sort
- Sieve of Eratosthenes
- DFS
- BFS
- Inheritance
- Interface
- Method overloading
- Method overriding
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের শিক্ষা শুরু করুন
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী IDE হচ্ছে Android Studio. এটাডাউনলোড করে আপনার পিসি তে ইন্সটল দিন । ইন্সটল করার সময় কোনো ঝামেলা হলে ইউটিউবের ভিডিও দেখে ঠিক করে নিন। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখার মুলতন্ত্র হল পর্যাপ্ত ধৈর্য।
ইউটিউবে অনেক বিগিনার লেভেলের ভিডিও টিউটোরিয়াল সিরিজ আছে। সেগুলো দেখে নিয়মিত প্র্যাকটিস করা যেতে পারে।
Udacity
The New Boston
Android Official Documentation
Awesome Android Complete Reference
Developers Blog
Android Hive
CodePath
Tutorials Point
Vogella
Java Point
The Busy Coder’s Guide to Android Development (Book)
Head First Android (Book)
অ্যাপটি তৈরীর পর অনেক গুলো ডিভাইসে চালিয়ে দেখুন
এই পদ্ধতির মাধ্যমে সকল প্রকার Runtime Bugs আপনার চোখে ধরা পড়বে বিভিন্ন ডিভাইস এর বিভিন্ন ধরণের কনফিগারেশন থাকে তাই আপনার অ্যাপটির কোন ফিচার নিদ্রিষ্ট কোন ডিভাইস এ ঠিক মত কাজ না করলে ইউজার কে সমস্যা টি ডায়লগ বক্স এর মাধ্যমে দেখার ফলে আপানার অ্যাপ এর ওপর তার বিরূপ দৃষ্টি পড়বে না |
Emualator এর মাধ্যামে app test করুন
পনার অ্যাপটি সব ডিভাইসে ঠিকমত কাজ করবে কিনা বোঝার জন্য অনেক গুলো ডিভাইসে চালিয়ে দেখা উচিত, কিন্তু বিভিন্ন কনফিগ এর ডিভাইস কেনা ব্যায়বহুল তাই ভারর্চুুয়াল ডিভাইস ব্যবহার করুন
Admov ব্যবহার করুন Ads প্রদর্শনের জন্য
অনেক গুলো Ads service একত্রে ব্যবহার করবেন না এতে করে আপনার অ্যাপ এর ইমপ্রেরশন নষ্ট হবে ইউজারদের কাছে, কারন ইউজাররা অ্যাপটি ব্যবহার কালে Ads প্রদর্শিত হলে
বিরক্ত বোধ করেন তাই এই বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝে তারপর ads প্রদর্শন করান |
আপনি Android Studio তে যত বেশি সময় ব্যায় করবেন ততবেশি IDE টির সাথে পরিচিত হবেন যেটা আপনাকে একজন ভালো ডেভেলপার হিসেবে প্রতিষ্টিত করবে |
Android সম্পর্কে ভাল টিপস পেতে ভিসিট করুনএখানে
0 coment rios: